পুরোদমে চলছে মোংলা-খুলনা রেললাইনের কাজ
নিউজ ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত
পুরোদমে চলছে মোংলা-খুলনা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের শেষ মুহূর্তের কাজ। করোনার কারণে এ প্রকল্পের কাজে সাময়িক ধীরগতি থাকলেও নতুন করে আবারো গতি ফিরেছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর অগ্রগতির কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও শিগগির শেষ হয়ে যাবে।
মোংলা-খুলনা রেললাইন প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার এসব কথা জানান।
চলমান কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মোংলা-খুলনা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই ২০২৩ সালের যে কোনোদিন চালু করে দেওয়া হবে এ রেললাইন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে বন্দরকে সংযুক্ত করে মোংলা-খুলনা রেললাইন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। গত ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন হয়। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন ও রেল সেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
পাঁচবার সময় বাড়িয়ে সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এরই সঙ্গে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
চলমান এ প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনালের প্রজেক্ট ম্যানেজার বলরাম দে বলেন, এ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে ছোট বড় মিলিয়ে ৩১টি ব্রিজ ও ১০৮টি কালভার্ট নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। রূপসা নদীর ওপর রেল সেতুর কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। পাইলিংয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এরপর মাত্র দুটি স্প্যান জোড়া লাগবে। এছাড়া এখনো ৯টি ভেকুলার আন্ডারপাসের কাজ বাকি আছে। এগুলোর ড্রইং হাতে এলে দ্রুত শেষ করা হবে এ কাজ।
মোংলা-খুলনা রেললাইন নির্মাণ কাজের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. আরিফুজ্জামান বলেন, রেল পথের কিছু অংশ, রেল সেতুর পাঁচ শতাংশ ও ফিনিশিং ওয়ার্ক বাকি আছে। তবে নতুন ডিজাইনের ৯টি রোড আন্ডারপাস নির্মাণ, পাইলের লেন সংখ্যা বাড়ানো ও মাটির কাজসহ নতুন কিছু কাজ সংযোজন হয়েছে। সে হিসেবে আগের একশ শতাংশ কাজের সঙ্গে আরও ১২ শতাংশ কাজ বেড়েছে। বর্তমানে রেল লাইনের মূল ভৌত অবকাঠামোর ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে।
সময় বাড়ানোর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনাকালে ভারত থেকে মালামাল আসতে ও নানা সংকটে শুরুতেই নির্মাণ কাজে বিলম্ব হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, চলমান এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দরের গতি আরও সঞ্চার হবে। মোংলা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড় ও বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতে শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ। ফলে কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভুটানের মালামাল পরিবহন সহজ হবে। এতে আমদানি-রপ্তানি বাড়ার সঙ্গে কন্টেইনার সার্ভিসও বাড়বে।
- ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও ভালুকার সালমা
- “ময়মনসিংহে অনলাইন নার্সারির ই-কমার্স সম্ভাবনা”
- সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণে ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ
- মিঠামইনে ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
- ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর ভৈরবের মাছ বাজার
- লক্ষ্মীপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে শেখ রাসেল দেয়ালিকা
- ময়মনসিংহ বোর্ডের প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় পাশ ৮০.১৩ শতাংশ
- দুর্গাপুর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা যোদ্ধারা নমুনা সংগ্রহ করছেন - পতিতালয়ের শিশুরা যাবে স্কুলে, থাকবে আবাসিক হোটেলে
- রাজীবপুরে কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষক কৃষাণী প্রশিক্ষণের আয়োজন