ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১১ ১৪৩১

পিলখানা ট্র্যাজেডি : মাস্টারমাইন্ড বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

পিলখানা ট্র্যাজেডি : মাস্টারমাইন্ড বিএনপি

পিলখানা ট্র্যাজেডি : মাস্টারমাইন্ড বিএনপি

২০০৯ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট বারবার অস্বীকার করে আসছে যে, বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাদের কোন যোগসাজশ নেই। অথচ ওইদিন বিএনপির হাইকমাণ্ডের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় তৎকালীন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সাংসদ নাসিরুদ্দিন পিন্টু এই ঘটনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি-জামায়াতের একাধিক সিনিয়র নেতাকর্মী। পরে তাদের কৃতকর্ম ঢাকতে ও কৌশলে দায় এড়াতে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে। কিন্তু সঠিক আইনি পদক্ষেপ ও সচেতন মহলের তৎপরতায় তা ভেস্তে যায়। বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল।

এছাড়া বিএনপি-জামায়াত জড়িত থাকার আরো একটি বড় প্রমাণ হচ্ছে, নারকীয় সেই হত্যাযজ্ঞের খুব সকালে হঠাৎ করে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থাকে পালিয়ে যান খালেদা জিয়া।

মূলত রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের চক্রান্তের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহ সংগঠিত হয়। কারণ, তার মাত্র কিছুদিন আগেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি সরকার গঠন করে। বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্র। তাই ক্ষমতা হারানোর প্রতিশোধ হিসেবে তারা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সহযোগিতায় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট রচনা করে। আর এর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বর্তমানে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তারেক বিডিআর বিদ্রোহের আগের রাতে তার মা খালেদা জিয়াকে ৪০ বারেরও বেশি ফোন করেন। মা খালেদাকে দ্রুত ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের হয়ে পাকিস্তান অ্যাম্বাসিতে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয় তারেক। ছেলের কথামত সেদিন দুপুর ১২টার পরিবর্তে খুব ভোরে থেকে কালো কাচের গাড়িতে করে বেরিয়ে যান খালেদা জিয়া।

আর এদিকে পিলখানায় তখন গুলি-রক্ত-লাশ। যার পুরোটাই ছিলো, পরাজিত বিএনপির ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। সেদিন আইনের শাসন অমান্য করে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন মেধাবী কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেন বিএনপিপন্থী বিডিআর জওয়ানেরা। যাদের মধ্যে ডিএডি তৌহিদ, বিদ্রোহী সিপাহী মাঈন, সুবেদার মেজর গোফরান মল্লিকসহ অনেকে রয়েছে যারা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত। তাদের প্রায় সকলেই বিএনপি আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। এছাড়া টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ২২ জন বিডিআর সদস্য যারা বিএনপির উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর সুপারিশে চাকরি পেয়েছিল।

সূত্রটি আরও জানায়, মোটিভ ছাড়া কোন অপরাধ সংগঠিত হয় না। এক্ষেত্রেও বিডিআর বিদ্রোহের কারণ একটি। আর তা হচ্ছে বিশাল ম্যান্ডেট পাওয়া সরকারের পতন ও দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়া।

সেসময় বিএনপি নেতাদের ভূমিকাও ছিলো নেতিবাচক। উল্টো তারা জলঘোলা করার পাঁয়তারা করছিলো। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত রাজাকার সাকা চৌধুরীও আর্মি অফিসারদের মৃত্যু প্রসঙ্গে বিদ্রূপ করে বলেছিলো- ‘কিছু প্রাণী মারা গেছে’।

সবমিলিয়ে এটা পরিষ্কার যে, এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত চক্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়