ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

তাসনিম খলিল: মিথ্যাচার ও গুজবের কিং

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ১৯ জুলাই ২০২১  

তাসনিম খলিল

তাসনিম খলিল

সাংবাদিকতার ট্যাগ লাগিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে তাসনিম খলিলের মিথ্যাচার থামছে না। গুজবকে তিনি শিল্পের এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন যে, গুজবের সমার্থক শব্দ হিসেবে তাসনিম খলিলের নামটি ব্যবহার করা যায়। বিগত ১৭ বছর যাবৎ তাসনিম খলিল বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার যোগসাজশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের সরকার, সেনাবাহিনী, র‍্যাবকে নিয়ে গুজব ছড়িয়েছেন একাধিকবার। তার গুজবের থাবা থেকে জাতিসংঘও রেহাই পায় না। একই সঙ্গে তিনি নিয়মিত উস্কানি দেন জামায়াত বিরোধী ইসলামিক জঙ্গি গ্রুপগুলোকেও। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে একীভূত হয়ে মিথ্যাচার ছড়িয়েছিলেন তাসনিম খলিল।

এর আগে দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে নতুন করে মিথ্যাচার করেন এই সুইডেনে অবস্থানরত কথিত সাংবাদিক ও ভুঁইফোড় অনলাইন পত্রিকা ‘নেত্র নিউজ’র সম্পাদক তাসনিম খলিল।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, তাসনিম খলিল মনে-প্রাণে জামায়াত মতাদর্শে বিশ্বাসী একজন নামসর্বস্ব সাংবাদিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক বিএনপি-জামায়াত সরকারের মহা-দুর্নীতিবাজ সাবেক কর্মকর্তা শামসুল আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন বিএনপি-জামায়াতের ‘গুজব সেলের’ পেইড কর্মী হয়ে কাজ করছেন। তার মূল কাজ হলো, প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরিতে উসকানি দেওয়া।

২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ডেইলি স্টার পত্রিকায় চাকরি করতেন তাসনিম খলিল। কিন্তু বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও পক্ষপাতমূলক সংবাদের কারণে ডেইলি স্টার থেকে তাকে পদচ্যুত করা হয়।

এরপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন-এ চাকরি করা অবস্থায় বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ বিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। পরবর্তীতে ভিনদেশিরা বিপুল পরিমাণে অর্থ সহায়তার প্রলোভন দিলে তিনি বাংলাদেশের নানা গোপন নথি দেশ বিরোধী শক্তিকে সরবরাহ করে দেন।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর, দেশের মাটিতে গাদ্দার হিসেবে পরিচিত হলে আত্মসম্মানের ভয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি দেশের বিরুদ্ধে নানা প্রকারের ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছেন।

দেশবাসীকে এই প্রতারক থেকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়