টানা ১৪ বলে ছক্কা-বাউন্ডারি, পাওয়ার প্লে-তে বিশ্বরেকর্ড
নিউজ ডেস্ক
টানা ১৪ বলে ছক্কা-বাউন্ডারি, পাওয়ার প্লে-তে বিশ্বরেকর্ড
স্কটল্যান্ডের মতো দলকে পেয়ে রীতিমতো রেকর্ড উৎসবে মেতে উঠেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। দুজন মিলে যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন, কে কতবার বাউন্ডারির বাইরে বল পাঠাতে পারেন। একটা সময়তো এমন হলো, টানা ১৪ বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছিলেন এই দুই ব্যাটার।
মাত্র ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ট্রাভিস হেড। এডিনবরায় স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১৫৪ রানের চ্যালেঞ্জ টপকে যেতে হেড-মার্শদের খরচ করতে হয়েছে ৯.৪ ওভার (৫৮ বল)। অস্ট্রেলিয়ার জয় ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে রীতিমতো রেকর্ডও গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই দুই ব্যাটার। টানা ১৪টি বাউন্ডারি ও ছক্কা মারার পাশাপাশি পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তোলার বিশ্বরেকর্ড গড়েন তারা।
বুধবার এডিনবরায় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে স্কটল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে তারা। জর্জ মুনসে ২৮, ব্রেন্ডন ম্যাকমালেন ১৯, রিচি বেরিংটন ২৩, ম্যাথিউ ক্রস ২৭, মার্ক ওয়াট ১৬ ও জ্যাক জার্ভিস ১০ রান করেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৯ রানে ৩ উইকেট নেন শন অ্যাবট। ২টি করে উইকেট নেন হ্যাভিয়ার বার্টলেট ও অ্যাডাম জাম্পা। ১টি করে উইকেট দখল করেন রাইলি মেরেডিথ ও ক্যামেরন গ্রিন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই ম্যাচে টি-২০ অভিষেক হয় জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের। তিনি নিজের প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন। প্রথম ওভারেই উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া এরপর যা করলো, তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। প্রথম ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে-তে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১১৩ রান তুলে ফেলে। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে-তে তোলা সবচেয়ে বেশি রানের বিশ্বরেকর্ড এটি।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তারা ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০২ রান তোলে।
ট্র্যাভিস হেড ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। চতুর্থ ওভারের শেষ ২টি বল এবং ষষ্ঠ ওভারের ৬টি বলকে একটানা মাঠের বাইরে পাঠান হেড। অর্থাৎ, তিনি টানা ৮টি বলে বাউন্ডারি মারেন। চতুর্থ ওভারের শেষ ২টি বলে যথাক্রমে ৬ ও ৪ মারেন হেড। ষষ্ঠ ওভারে ব্র্যাড হোয়েলের ৬টি বলে যথাক্রমে ৪, ৬, ৪, ৪, ৪ ও ৪ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
মাঝে ৫ম ওভারে জ্যাক জার্ভিসকে তিনটি করে ছক্কা এবং বাউন্ডারি (৬,৬,৪,৬,৪,৪) মারেন মিচেল মার্শ। তিনি একাই নেন ৩০ রান। ৩.৫ ওভার থেকে ৫.৬ ওভার পর্যন্ত টানা ১৪টি বলে বাউন্ডারি মারেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটার। এই ১৪টি বলে ৫টি ছক্কা ও ৯টি চার মারেন হেড ও মার্শ।
হেড ৮ বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৮০ রানের ধুমধারাক্কা ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ১২টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা।মিচেল মার্শ শেষ পর্যন্ত ১২ বলে ৩৯ রান করে আউট হন। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১৩ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন জোশ ইংলিস। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ৮ রান করে নট-আউট থাকেন মার্কাস স্টইনিস।
- মেসির জার্সিতে গোল করে যা বললেন দিবালা
- বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে যত রেকর্ডের হাতছানি
- ভারতে টাইগারদের সফল হতে মিরাজ দিলেন ‘মন্ত্র’
- জয় থেকে ৬৬ রান দূরে থেকে লাঞ্চে বাংলাদেশ
- সাফের ফাইনালের আগে দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ
- নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
- একই রাতে হোঁচট খেল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে
- ব্যালন ডি’অর: মনোনয়ন তালিকায় যেজন্য নেই রোনালদো-মেসি
- লা লিগায় এমবাপ্পের গোল, দুইয়ে উঠল রিয়াল
- দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের সংবর্ধনা দেবে সরকার