ঢাকা, সোমবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩০

জিয়াউর রহমান ছিলেন জঙ্গিদের সব থেকে বড় গডফাদার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ১৫ সেপ্টেম্বর। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোয় গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্রচর্চাকে উৎসাহিত করার প্রয়াসে দিবসটি পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এ দিবসের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। এরপর থেকেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

এ দিবসটি বিশ্বের প্রায় সকল দেশ এবং উক্ত দেশের দলগুলো ঘটা করে পালন করলেও পালন করতে লজ্জা পাচ্ছে বাংলাদেশের দুর্নীতিগ্রস্ত দল বিএনপি। ক্ষমতায় থাকার সময় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয়ার কারণেই বিগত ১৫ বছর তারা গণতন্ত্র দিবসে কোনো সভা-সেমিনার করে না।

২০০১-০৬ সালে খালেদা সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে জঙ্গিবাদের সূচনা হয়। জঙ্গিদের বিভিন্নভাবে মদদ ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হয়েছিলো গণতন্ত্রের লেবাসে। এই দলের নাম বিএনপি। আসলে তারা ছিল জঙ্গিবাদের গডফাদার। তাদের কারণেই অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ডালপালা ডানা মেলেছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন জঙ্গিদের সব থেকে বড় গডফাদার। তিনি বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে উপড়ে ফেলেছিলেন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে শুরু করার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এখান থেকেই বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের উত্থান পর্বের শুরু।

খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের আরেক গডমাদার। তিনি জঙ্গিদের লালন করেছিলেন তার রাজনৈতিক মসনদ পাকাপোক্ত করার জন্য। বিভিন্ন জঙ্গিসংগঠনের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক গড়েছিলেন এবং ২০০১ সালের আগে এসেই তাদের এই পারস্পারিক সম্পর্ক প্রকাশ হয়ে যায়। একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে বিএনপির ছিলো প্রকাশ্য সম্পর্ক। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ২০ ট্রাক অস্ত্র আসা বা একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা- সবই জঙ্গি যোগসাজশে হয়েছে বলে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। সুতরাং বাংলাদেশে মূলধারার রাজনীতিতে জঙ্গিবাদকে ঠাঁই দেয়ার মূল কাজটি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মূলত প্রতিটি ধাপে ধাপে বিএনপি যেভাবে গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করেছে তার প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন করে না বিএনপি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়