আদিলুর টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করেছেন : কৃষিমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক

আদিলুর টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করেছেন : কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, হেফাজতের সেই সমাবেশে ৬১ জন মানুষ মারা গেছে এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর কী হতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার যে রেজ্যুলেশন দিয়েছেন তারও নিন্দা জানান আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, যে রেজ্যুলেশন দিয়েছে তা বিএনপির ভাষায়।
গতকাল শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব বলেন।
আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আদিলুর রহমান ‘টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে’ বিদেশিদের বিভ্রান্ত করেছেন অভিযোগ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, হেফাজত নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কিছু লবিস্ট বিএনপি-জামায়াত ধর্মান্ধদের টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আপনারা বাংলাদেশে টিম পাঠান। আপনারা বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই, মানবাধিকার হুমকির মুখে। মানবাধিকার কি শুধু মিথ্যাচার করা? আপনারা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশের এক ভাগ সংখ্যালঘুও যদি বলে আওয়ামী লীগ তাদের নিরাপত্তা দেয়নি, সবচেয়ে ভালো অবস্থানে নেই, আমরা এ দেশে সরকারে থাকব না।
রাজ্জাক বলেন, হেফাজতের সেই সমাবেশে ৬১ জন মানুষ মারা গেছে এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর কী হতে পারে। সে মিথ্যাবাদীরা যদি বিচার হয় আইনে, সেটা কি অন্যায়?
তিনি বলেন,এ দেশ হিন্দু, খ্রিষ্টান, গারো-চাকমা প্রতিটি মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে। এই সংখ্যালঘুদের ৯৯ ভাগ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে হেফাজত সমাবেশ করেছিল। আমি সেদিন খুব কাছে থেকে দেখেছি, তাদের খুব অনুরোধ করেছিলাম সমাবেশ শেষ করতে। সন্ধ্যার দিকে সরকারের কাছে খবর এল তারা সমাবেশ থেকে উঠে যাবে না। রাতের মধ্যে তারা গণভবন ঘেরাও করে, সচিবালয় ঘেরাও করে, সরকারের পতন ঘটাবে তারা। রাত ৮টার দিকে কী দেখেছিলাম? খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়ে জানাল, বিএনপি নেতাদের হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে। এরশাদ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি নিয়ে হেফাজতের পাশে দাঁড়ালেন, খাবার নিয়ে দাঁড়ালেন। সারা দেশ আতঙ্কগ্রস্ত। গণভবন ঘেরাও হবে কি না, সচিবালয় ঘেরাও হবে কি না, হেফাজতের কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, নাকি বিএনপির কাছে দেবে ক্ষমতা এমন এক পরিস্থিতি। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, রাত ৩টার মধ্যে শাপলা চত্বর পরিষ্কার হয়েছিল। সেখানে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিল ঢাকা মহানগরের নেতারা।
তিনি বলেন, বিএনপি একটানা আন্দোলন-সংগ্রাম করছে, একই দাবি নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে আন্দোলন করছে- শেখ হাসিনা পালাবার পথ পাবে না। একই কথা বারবার বলছে। শেখ হাসিনার পতন না হলে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না।
বিএনপির মুখ শুকিয়ে গেছে এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, মির্জা ফখরুলের এখন আর হাসিখুশি মুখ নেই। স্যাংশন-ভিসা নীতি করে ভেবেছিলেন, তারা ক্ষমতায় এসে গেছেন। কিন্তু এখন মুখ শুকিয়ে গেছে।
সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি শক্তি ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বলব, এ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পতন ঘটান যাবে না। বিদেশি যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, মানবতার কথা বলেন তারা এই ষড়যন্ত্রীদের সঙ্গে থাকবে না।
হানিফ বলেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আমরা বিএনপি-জামায়াতের অশুভ তৎপরতা নস্যাৎ করে দিয়ে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনব। অধিকারের চেয়ারম্যান আদিলুর রহমানের সাজার বিষয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, হেফাজতের মহাসমাবেশ ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিল অধিকার। সেই মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তার দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এ জন্য মির্জা ফখরুলের দুঃখ কীসের? এই স্বাধীনতা বিরোধীরা এক হয়ে সরকার পতন ঘটাতে চায়। বিদেশি বন্ধুদের বলব, জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকুন। আমরা পরিষ্কার করে বলছি, বিএনপি-জামায়াত কর্মসূচি দিলে আমরা রাজপথে থেকে তাদের যেকোনো ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করব।
হানিফ আরো বলেন, খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন হেফাজতের আন্দোলনে সরকার নেমে যাবে। ২০০ গরু জবাই করে খাওয়ার ব্যবস্থার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমের আল জাজিরায় সাক্ষাৎকারেরও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা।
তিনি বলেন, শহিদুল আলম একাত্তরের পরাজিত শক্তির বংশধর। তার মা ছিলেন রাজাকার, তিনি রাজাকার সবুর খানের ভাগ্নে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বক্তব্য দেন।
- মিয়া খলিফাকে পিছনে ফেললো শামা ওবায়েদের পর্ন ভিডিও
- ২০০১-২০০৬, বিএনপির শাসনামলে দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ
- শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মতো ফোন নাম্বার বদলায় তারেক
- যে কারণে শামা ওবায়েদের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করে তারেক
- নতুন নতুন বয়ফ্রেন্ডের সাথে বিছানায় যেতে অভ্যস্ত জাইমা রহমান
- বিএনপির জন্ম হয় অবৈধভাবে
- জিয়ার মতোই বাংলাদেশকে ভুল পথে পরিচালনা করতে চায় খালেদা-তারেক
- জাইমা নয়, ইশরাকের পছন্দ জাফিয়া রহমানকে
- পাকিস্তানি জেনারেল জানজুয়ার মৃত্যুতে কেন খালেদা জিয়ার শোকবার্তা
- দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে মত্ত পিনাকী ভট্টাচার্য